বিহু যে একটি গৌরবময় নৃত্য ধারা , পাঠ শেষে জানালেন - কেকা ত্রিবেদী
- Avijit Mitra
- May 30, 2021
- 5 min read

বিহু : এক গৌরবময় নৃত্য ধারা

কেকা ত্রিবেদী
শর্মিষ্ঠা দে বসুর ২০০৪ সালে প্রকাশিত ‘বিহু’ গবেষণা গ্রন্থটি একাধারে বিহু নৃত্য শৈলী ও বিহু
কেন্দ্রিক অসমীয়া লোকসংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বইটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও
সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র দ্বারা প্রকাশিত।
পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য অসম যার প্রাচীন ভাষা, লিপি, ধর্মীয় ভাবনা প্রভৃতির সঙ্গে
আমাদের যেমন সাদৃশ্য রয়েছে, তেমনি বৈষ্ণব ঐতিহ্য দুই রাজ্যকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে বেঁধেছে।
ঐতিহাসিক কাল থেকে প্রাগজ্যোতিষপুর বা কামরূপের সাংস্কৃতিক বৈভব আমাদের মুগ্ধ করে।
অসমের অপরূপ মনোরম সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ গ্রামীণ, কৃষিনির্ভর সমাজের স্তম্ভ। কৃষিজ,
বনজ, খনিজ - প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য অসমীয়া নগর সভ্যতাকে সময়ের সঙ্গে ব্যবসা
কেন্দ্রিক করে তুলেছে। বর্তমানে বিহু অসমের জাতীয় উৎসব। কিন্তু বিহু শুধুমাত্র একটি নাচ নয়,
সমগ্র উত্তর পূর্ব ভারতের পার্বত্য মঙ্গোলয়েড জনজাতির ফসলকেন্দ্রিক, জীবজগতের সমৃদ্ধি ও
উর্বরতার কামনায় পুরুষ ও প্রকৃতির মিলনমূলক একটি নৃত্য উৎসব। এই নৃত্যগীতের মাধ্যমে যেমন
পুরুষ-নারীর জীবনীশক্তি ও সৌন্দর্যের প্রশংসা করে মিলনের নেশায় উন্মত্ত হয়ে ওঠে তেমনি
নারীও পুরুষ জাতিকে সাজসজ্জা ও অলংকারে ভুলিয়ে নাচে গানে মাতোয়ারা করে তোলে। তবে বর্তমানে
বিশ্বায়নের প্রভাবে এই নাচের ঐতিহ্য কিছুটা হলেও মলিন। বিশ শতকের শহুরে সংস্কৃতির ছোঁয়ায়
গ্রাম্য আদিমতা প্রায় অস্তমিত। যেকোনো সনাতন লোকাচারের মতোই বাণিজ্যিকীকরণের ফলে বিহু
নাচ তার স্বধর্ম থেকে বিচ্যুত। লেখিকার মতে বিহুর রূপকে রক্ষা করে তাকে ঘিরে অপসংস্কৃতির
আবহাওয়াকে পাল্টে অসমীয়া সমাজের পূর্ণরূপকে বিকশিত করলে বিহুর আন্তর্জাতিকতা বাড়ে।
এই বইটি অসম ও মিজোরামে ক্ষেত্রসমীক্ষা ভিত্তি করে রচিত। বিহু নাচকে কেন্দ্র করে অসমের
সুপ্রাচীন গ্রামীণ ঐতিহ্য, তার সঙ্গে জড়িত মানুষের প্রকৃত রূপ ও বিহু নাচের আকর্ষণীয় নৃত্য
ভঙ্গিমার ব্যাকরণ এই বইতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বর্ণিত রয়েছে। বইটি প্রধানত ১৩টি অধ্যায়ে
বিভক্ত। প্রথম দুটি অধ্যায় বিহু কথার অর্থ, বিহু নাচের উৎস সন্ধান ও নাচকে কেন্দ্র করে
উৎসবের বর্ণনা রয়েছে। বিহু আদতে বর্ণহিন্দুদের অনুষ্ঠান নাকি, আদিবাসীদের অনুষ্ঠান তা
নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামতের অংশবিশেষ তুলে ধরে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। দেখা যায় এক্ষেত্রে কোন
ব্রত উদযাপন হয় না বা পূজা পদ্ধতি না থাকলেও কিছু নিয়ম পালন করা হয়, যার সঙ্গে ঋতু
পরিবর্তন ও ফসল উৎপাদনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। চৈত্রসংক্রান্তি বা মহাবিষুবের সময় বহাগ
বিহু, কার্তিক সংক্রান্তিতে কাতি বিহু ও মকর সংক্রান্তিতে মাঘ বিহু পালিত হয়। তবে সংস্কৃতায়ন
জাত ‘ বিষুব সংক্রান্তি থেকে বিহু এসেছে ’ এমন মতে অনেকেই বিশ্বাস করেন না। বর্তমানে এটি
অসমের জাতীয় উৎসব হলেও আদিম সভ্যতা বিকাশের সময় থেকে তা উত্তর অসম, মণিপুর,
মিজোরাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ, বাংলাদেশের সিলেট, কাছাড়, মায়ানমার, লাদাখ,
ইন্দোনেশিয়া, জাভা, সুমিত্রা, বলিদ্বীপ, চীনের দক্ষিণাংশ অর্থাৎ সমগ্র উত্তর পূর্ব হিমালয়,
পার্বত্য উপত্যকা অঞ্চল মঙ্গোলীয় আদিবাসীদের মধ্যে প্রচলিত একটি প্রাচীন ঐতিহ্য
পরম্পরাগত উৎসব যা আজও বিভিন্ন নামে, বিভিন্ন ভাবে বেঁচে আছে সর্বত্র। বিহু নাচের পোশাক,
সাজসজ্জা, ভঙ্গিমা, বিহু উৎসবের আচার অনুষ্ঠানে অবশ্য কিছু আর্যীকরণের প্রভাব রয়েছে।
যেমন গরু বিহুতে গরু পুজো ইত্যাদি।
তৃতীয় ও চতুর্থ অধ্যায়ে অসমের বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলে বিহু উৎসবকে কেন্দ্র করে সমাজ ও
সংস্কৃতির তুলনামূলক আলোচনা করা হয়েছে। অসমীয়া সংস্কৃতির দুটি বিভাগ - উত্তর অসম ও
দক্ষিণ অসম। উত্তর অসমের মিসিং জনগোষ্ঠী ও দক্ষিণ অসমের বোড়ো গোষ্ঠীর আদি
লোকনৃত্যের মধ্যে বিহুর প্রধান অঙ্গভঙ্গিগুলি খুঁজে পাওয়া যায়। বোড়ো জাতির লোকাচার দক্ষিণ
ভারতীয় দ্রাবিড় জাতির সঙ্গে মেলে। এদের বৈশাখু উৎসব হল বিহুর সমার্থক। উত্তর অসমের
মিসিং জনজাতির বাদ্যযন্ত্রগুলি বেশিরভাগই বিহুতে ব্যবহৃত হয়, যেমন – ঢোল, তাল, কাঁসি, পেঁপা,
টকা ইত্যাদি। চতুর্থ অধ্যায়ে কাতি, ভোগালি বা মাঘ ও রঙালি বিহুর বিশদ বর্ণনা অত্যন্ত
প্রশংসনীয়। এই তিন প্রকার বিহুতে তিন প্রকার রসের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কাতি বিহুতে করুণরস,
কার্তিক মাসের সংক্রান্তি তিথিতে পালিত হয়। এটি দরিদ্রতম বিহু, কারণ এ সময়ে কৃষকের ঘরে
আকাল ঘটে। তাই আর কোনো অনুষ্ঠান না হলেও ক্রীড়া অনুষ্ঠান হয়। এই বিহুর একমাত্র প্রার্থনা
মাঠে লাগানো ফসল যেন সুরক্ষিতভাবে বৃদ্ধি পায়। এইসময় শস্য ক্ষেতে, মাঠে, উঠোনে, ভাঁড়ারে
সন্ধ্যায় প্রদীপ দেওয়ার বিশেষ রীতির সঙ্গে গ্রামবাংলায় কার্তিক মাসে আকাশ প্রদীপ জ্বালানোর
মিল রয়েছে। ভোগালি বা মাঘ বিহু হল ভোগ ও প্রাচুর্যের বিহু। এই বিহু পালিত হয় পৌষ সংক্রান্তি
তিথিতে যেখানে ভেলাঘর তৈরি করে পোড়ানোর রীতি হল দারিদ্র্যকে পুড়িয়ে সুখ-সমৃদ্ধি আবাহনের
প্রতীক। ভোগের প্রতীক রাতে ‘ লাওপানি ’ খাওয়া। শীতকালে হওয়ায় পিঠে, নাড়ু, গুড় ও শীতের
সবজি দিয়ে ভোগালি উৎসব পালন করা হয়। সন্ধ্যাকালীন মেলা বসে। তবে চৈত্রসংক্রান্তি
তিথিতে পালিত হওয়া রঙালি বিহু হল আমোদের বিহু এবং সব থেকে বেশি জনপ্রিয়। নতুন বছরের নতুন
ফসল, প্রাণীজগৎ ও শস্যের উর্বরতাকামী এই উৎসবে মানুষ খেয়ে-দেয়ে নেচে-নেয়ে সব রকম ভাবে
আমোদ করে। তিনদিন ধরে চলা এই উৎসবে যেমন গরু পুজো হয় তেমনি যুবক-যুবতীরা পছন্দের সঙ্গী
খুঁজে পেতে মিলনের নাচ গান করে।
বইটির পঞ্চম অধ্যায়ে বিহু নাচের ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক পটভূমির সন্ধান পাওয়া যায়। প্রাচীন
পুরাণ, মহাভারত ও রামায়ণে প্রাগজ্যোতিষ হিসেবে অসমের উল্লেখ রয়েছে। মধ্যযুগের
প্রাগজ্যোতিষপুরই কামরূপ নামে পরিচিত ছিল। বর্তমান অসম নামকরণ সম্ভবত ১৯ শতকে ‘শান’
জাতীয় লোকেদের আগমনের ফলে ঘটে। স্বাধীনতার পর ক্রমশ ক্ষুদ্রতর হয়ে পড়ে অসম রাজ্য।
বর্তমানে এই রাজ্যটি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা, বরাক উপত্যকা, উত্তর কাছার, ও কার্বি অধ্যুষিত
পার্বত্য ভূ-ভাগ নিয়ে গঠিত। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকাটি অসমকে উত্তর, মধ্য ও নিম্ন তিনটি অঞ্চলে
ভাগ করেছে। এখানে সরকারি ভাষা হল অসমীয়া যা ইন্দো এরিয়ান ভাষা, সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত।
যদিও বিভিন্ন জাতি-উপজাতির মধ্যে আঞ্চলিক ভাষার তারতম্য আছে। অসমে অনেক প্রকার
আদিবাসী আছে, যেমন – রাঙা, বোড়ো, কাছারি, কার্বি, তিওয়া, মিসিং ইত্যাদি। এইসব আদিবাসীদের
ইতিহাস এবং নৃতত্ত্ব সম্পর্কে লেখিকা বিশদে আলোকপাত করেছেন। এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব
ভারতে মঙ্গোলয়েড সংস্কৃতির সঙ্গে দ্রাবিড় ও অস্ট্রিক সভ্যতার এমনকি আর্য সভ্যতার
যোগসূত্র যুক্তিপূর্ণ অনুমান সহ পেশ করেছেন লেখিকা। বিহু প্রকৃতপক্ষে আসলে কাদের নাচ এই
প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় দক্ষিণ অসমের কলিতা ও উচ্চ বর্ণের মানুষ অসমের মূল
জনজীবন স্রোত থেকে চিরকাল দূরে সরে থেকেছে ও বিহু নাচ উচ্চ বংশের কাছে কোনদিন সমাদর
পায়নি। মধ্যযুগে আদিবাসী উপজাতি জনজাতির ওপর শংকরদেবের সৌজন্যে বৈষ্ণব প্রভাবের সূচনা
হয়। সমাজ, সংস্কৃতি, সাহিত্য, নৃত্যগীতেও তার প্রভাব পড়ে। ইংরেজ শাসন কালে পশ্চিমী সভ্যতার
ছোঁয়া লাগে। পঞ্চাশের দশক থেকে বিহু দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
পরবর্তী অধ্যায়গুলিতে লোকনৃত্য হিসেবে বিহুর একটি বিস্তারিত পর্যালোচনা রয়েছে। কালের নিয়মে
বিবর্তনের ফলে আদিম জনজাতির লোকাচারের সঙ্গে আর্যধর্মপুষ্ট শাস্ত্রীয় বিধি বিধান যুক্ত হয়ে
একটি পবিত্র ও ধর্মভাব মিশ্রিত ভাবের উদয় হয়েছে। বিহু গীতগুলির চরিত্র বিশ্লেষণ করে জানা
যায় এর বিষয়বস্তু হল এক শ্রেণির ধর্মনিরপেক্ষ মৌলিক সাহিত্য। প্রকৃতির সৌন্দর্য, নবযুবতীর
সৌন্দর্য, স্বভাবজাত প্রবৃত্তি, অতীতের আর্থসামাজিক, ধর্মীয় বিষয় ইত্যাদি স্থান পেয়েছে। তবে
বর্তমানে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলেছে বিহুর স্থান, নৃত্যের ভঙ্গিমা, গীতের বিষয়বস্তু। শহুরে,
মধ্যবিত্ত, চাকুরিজীবী অসমীয়া সমাজ বিহুর উপর আজ বিরক্ত। শহরে প্রায় পশ্চিমবঙ্গের
দুর্গাপুজোর মত বিজ্ঞাপনে মুখ ঢেকেছে বিহু উৎসব। বিহু আজ গ্রামের মাঠ ছেড়ে শহরের
প্রেক্ষাগৃহের মঞ্চে প্রতিযোগিতার আকার নিয়েছে। বলিউডের চটুল নাচের প্রভাব থেকে দূরে সরে
থাকতে পারেনি এই নৃত্য শৈলী। বিহু নাচের বিভিন্ন মুদ্রা ও ভঙ্গিমা পর্যালোচনা করলে যেমন
প্রকৃতি পুরুষের মিলনের ইঙ্গিত পাওয়া যায় তেমনি বৈষ্ণব প্রভাব ও হিন্দু দেবদেবীর ( সরস্বতী,
পার্বতী, শিব, নারায়ণ ) মাহাত্ম্য প্রকাশ পায়।
বর্তমানে অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা ও বাজার অর্থনীতির প্রভাবে বিহুর হারিয়ে যাওয়া কৌলিন্য ফিরে
পেতে তার উৎস সন্ধান, আদিম রূপ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন। সেই দিক থেকে বিচার
করলে এই অভিসন্দর্ভটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভবত লেখিকা নিজে নৃত্যশিল্পী হওয়ায় বিহু
গীতের স্বরলিপি ও নাচের ভঙ্গিমার সুন্দর ব্যাখ্যা দান করেছেন। তবে সচিত্র বিশ্লেষণ হলে
সাধারণ পাঠকের কাছে বেশি বোধগম্য হত। বিহু উৎসবের তিনটি প্রকারভেদ ও তার আঞ্চলিক
তারতম্যের নিখুঁত ও পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা খুবই প্রাঞ্জলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। বিভিন্ন গবেষক ও
লেখকের উদ্ধৃতি প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লিখিত রয়েছে। তবে কখনো কখনো তা অসমীয়া ভাষায় লিখিত
হওয়ার পাশাপাশি বাংলায় অনুবাদ করলে সাধারণ পাঠক উপকৃত হতে পারত। অসমীয়া সংস্কৃতির
সাজসজ্জা, অলংকার, জীবিকা, ধর্ম, ভাষা, গ্রাম ও শহরের তারতম্য সবকিছু census data দিয়ে
যুক্তিযুক্ত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। উদাহরণসহ দ্রাবিড়, আর্য সভ্যতা, ব্রাহ্মণ ও বৈষ্ণব প্রভাব
ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব ও নৃতত্ত্বের বিশ্লেষণ থেকে বর্তমান অসমীয়া সমাজের
রাজনৈতিক সমস্যারও কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়। বিভিন্ন জাতি ও ভাষার মানুষের মিলন ঘটলেও
দেশভাগের ফলে বাংলাদেশ থেকে আগত বাঙালিদের সঙ্গে অসমীয়াদের সাংস্কৃতিক দূরত্ব ও
বাঙালিদের প্রতি অসমীয়াদের সমানুভূতির অভাবের কারণ অনুমান করা যায়। তবে সমগ্র বইটিতে
একই শব্দের বিভিন্ন বানানের ব্যবহার ও বাংলা ইংরেজি দুই ভাষাতেই কিছু ভুল বানান, বিভিন্ন
অধ্যায়ে একই অনুষ্ঠানের বর্ণনার পুনরাবৃত্তি ও বিষয়বস্তুর বাঁধুনির অভাব পাঠকের স্বতঃস্ফূর্ত
পাঠ-প্রবাহকে কিছুটা বাধা দান করে। সবশেষে একথা অনস্বীকার্য যে অসম তথা উত্তর-পূর্ব
ভারতের লোকসংস্কৃতি বিষয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে এই বই একটি প্রামাণ্য দলিল। পরবর্তী সংস্করণে
বানানের প্রতি আরেকটু যত্ন ও সহায়ক গ্রন্থপঞ্জির পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হলে সাধারণ
পাঠক ও গবেষক প্রত্যেকেই উপকৃত হবে।
Make a Donation
A/C: 40910100004585
IFSC Code:BARB0BUDGEB
Bank Name: Bank Of Baroda
Name in Bank: BHAAN
Comments