রাজনৈতিক হিংসা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ কেন ? ভাবতে বসলেন-বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
- Sneha Roy
- Aug 3, 2021
- 5 min read

বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঙালি জীবনে সংস্কৃতির নানা চেহারা। এর ভেতর সংস্কৃতি (!) হিসাবে রাজনৈতিক
হিংসা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসাবে স্থান করে নিয়েছে বলেই মনে
হয়। বাঙালি মধ্যবিত্তের জীবনেও তার প্রভাব আজ গাঢ়তর ফলে রাজনৈতিক রুচি ও
ভদ্রতাও আজ অস্তাচলগামী। মুখোশ খুলে যাচ্ছে বারবার…মুখের মাস্ক (Musk) ও
খুলে যাচ্ছে, চারিদিকে হিংসা ও কুকথার স্রোত। ইতিহাস সূত্রে দেখি বাংলা বহুদিন
ধরে হিংসার পরিবেশ কে লালন করে আসছে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তো বটেই, নিজস্ব
ব্যক্তিগত মানসিক বলয়ের ভিতরেও। “ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়ে” কবির ভাষায়
যারা বসবাস করে তাদের অনেকে নিজের গোচরে বা অগোচরে হিংসার ভয়াল ছায়ায়
আবৃত হয়ে আছে। মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিয়ে সাধারণ বাঙালি মানুষ ও মেনে নিচ্ছে
অসহায় পশুবলি, জবাই, নির্মম ভাবে পশুহত্যা এবং ঐ সব হত্যা কে আবার দর্শন
দিয়ে যুক্তি গ্রাহ্য (justify) করার চেষ্টা চলছে। শুয়োর কে জ্যান্ত পোড়াচ্ছে,
অসহায় উট কে বেঁধে জবাই করছে, কুকুর ছানাদের সেবিকারা পিটিয়ে মারছে পণের
জন্য মারছে বধূকে, চলছে দলিত হত্যা আরও কত কী। অসহায় মানুষের কাতর
চিৎকারে কোন রাজনৈতিক দলের কি কোনোরকম মনোবেদনা আছে? এই হিংসা আছে
বলেই রাজনৈতিক হিংসা আরও প্রবল। ভাগ্য ভালো যে সবাই অসৎ নন। আর হিংসা
থাকবে নাই বা কেন? পশুহত্যা শুধু নয়, নরবলির প্রচলন ছিল এই বাংলায়।
ঠ্যাঙ্গাড়ের হুঙ্কারে শিউরে উঠত অন্ধকার কসাড় বন। কন্যাজন্মের পর নিষ্ঠুর
ভাবে কন্যাটিকে মেরে ফেলা, কখনও গাছে জীবন্ত ঝুলিয়ে রেখে আসা, বিষ পিঁপড়ে ও
অন্যান্যদের খাদ্য হিসাবে, গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন দেওয়া এসব কাজ বাঙালি
তো সংসার প্রতিপালন করতে করতে ধর্মাচরণ করতে করতে অনায়াসে করত আর
ধূর্ত রাজনৈতিক নেতাদের মতো যুক্তি খুঁজে নিত। ফলে রাজনীতিতে তো রক্তরাগ
এসে পড়বেই। হিংসা, হিংসার জন্ম দেবে।
সংসার প্রতিপালন, দেবার্চনা, পিতার ভূমিকা, ভ্রাতার ভূমিকা পালন
করতে করতে অক্লেশে বাঙালি পুরুষ কন্যাকে, পুত্রবধূকে তুলে দিয়েছে জ্বলন্ত
চিতায়… সতীদাহ সম্ভব হয়েছে। তার মধ্যে সাংসারিক অর্থনীতির রাজনীতি ছিল।
আজকের গবেষকরা তা বলেছেন। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের এই কুটিল ধর্মীয়
রাজনীতির স্বপক্ষে ‘সতীদাহ হোক’ এই মর্মে স্বাক্ষর কম পড়েনি। কাজেই হিংসা
ছিল ছদ্মবেশে ভগবানের নামে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিল। রাজনৈতিক লক্ষ্যে
বহুবার বাঙালি মারা গেছে বাঙালির হাতে। আবার বলি হিংসা ছিল কিন্তু হিংসা ছিল
ছদ্মবেশে যা আজও আছে। যেমন ফেসবুকে খেলা করে ছদ্মবেশে হিংসার আবহাওয়া
এটা দেখেছি। এটা রাজনীতির পর্যায় হতে পারে যার ভেতর লুকিয়ে থাকে
ক্ষমতাবানকে তুষ্ট করার রাজনীতি। বুড়ো আঙুল তোলা, লাভ সাইন, কেয়ার ইত্যাদি
হল এই রাজনীতির অস্ত্র। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে বশে রাখার অস্ত্র। সবাই তা না
করলেও অনেকে করেন। আমি দেখি যে ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকে গোপন হিংসা,
প্রতিবেশীর কপট রাত্রি!! “আমি আপনারই” এই কথা বোঝানোর অস্ত্র আর
রাজনীতিতেও তো তাই হয়। ‘হিংসা’ ছদ্মবেশে থাকে, মিছরীর ছুরি থাকে। রাজনৈতিক
হিংসার আবার অন্য অস্ত্র। যেখানে হাতিয়ার হল গুলি, বন্দুক, বোমা, ছুরি, গাঁজা
কেসে ধরিয়ে জামিনের পথ বন্ধ করা ইত্যাদি। সে এক রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা,
হিংসার ভুলভুলাইয়া! অস্ত্রের ঝংকার, হিংসার কলরোল! এই রাজনৈতিক হিংসা
বাঙালিকে তখন এক সমীকরণে পৌঁছে দিয়েছে যেখানে শহিদ দিবস পালন মানেই
আমাদের পথের লোকরাই, সে ১৩ জন হোক আর ৩০ জন হোক, আমাদের দলের
লোকেরাই শহিদ একথা বক্তৃতায় বলব আর অন্য দলের তরুণ ময়দানে যাবার পথে
পুলিশের লাঠি চার্জে মারা গেলে বা অন্য দলের কেউ নিহত হলেও যে শহিদ নয় এই
সংস্কৃতিকে বক্ষে ধারণ করতে হবে। এ সংস্কৃতি শিক্ষিত বাঙালি, অধ্যাপক
বাঙালিকেও আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। এক গোপন চাপা হিংসা এসে ঢেকে ফেলছে তাদের
রাজনৈতিক চেতনা।
কিন্তু কবে থেকে রাজনৈতিক হিংসা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য
অঙ্গ হল? অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ই বা কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে একটু দূর
দিগন্তে তাকাতে হবে। বাঙালি জাতির জন্ম এক মহা কলরোলের ভেতর। সুজলা সুফলা
বঙ্গ দেশে বারবার আক্রমণকারী হয়ে এসেছে নানা জাতি। যুদ্ধ হয়েছে কিন্তু
অনেকেই শেষ পর্যন্ত এখানে থেকে গেছে। একেবারে আদিম অধিবাসীরা বাধ্য হয়েছে
মহামিশ্রণের পরিচয় নিতে। প্রমাণ হয়েছে বাঙালি এক মিশ্রিত জাতি। বাঙালির
মুখের ভেতর তাই নানা জাতির আদল। আসল ছিল ক্ষমতা লাভের বাসনা যা থেকে এত
রাজনীতি, এত হিংসা! রুপিয়া, নীল গাড়ি, দলদাসদের আনুগত্য পাবার লোভে উন্মাদ
রাজনৈতিক হিংসায় যোগ দিচ্ছেন মহিলারাও। আমরা বলি যে, আমরা হিংসা ভালোবাসি
না কিন্তু হিংসা করি এবং রাজনৈতিক হিংসা তো আমাদের আছেই। যা পরাজিতদের
ঘর জ্বালানোর কাজে আগেও লাগতো এখনও লাগে। সব বিজয়ীরাই সাধারণত ভয়ের
দর্শন বানাতে জানে।
নীহাররঞ্জন রায় লিখেছিলেন বাঙালির সমাজ বিন্যাসের ইতিহাসই
বাঙালির ইতিহাস। সমাজবিন্যাসের পথে আসে প্রথমে ব্যক্তিগত, তারপর
পারিবারিক তারপর রাজনৈতিক হিংসা। প্রাচীন গ্রন্থে দেখা গেছে বাঙালির কাম,
ক্রোধ বরাবর বেশি। কাজেই সেই পথ ধরে হিংসা বেশি হবে এটা স্বাভাবিক।
নীহাররঞ্জন রায়ের মতানুসারে পাল রাজাদের আসন থেকে ধীরে ধীরে বাঙালি জাতি
হিসাবে উত্থিত হওয়া শুরু করে তখন যে বাণিজ্যসম্পদ সুজলা সুফলা এক ভূখণ্ডের
অধিবাসী যেখানে পুঁজির ঘনীভবন হচ্ছে। সেন যুগের শেষে রাজনৈতিক অস্থিরতার
পরবর্তী পর্যায়ে বাঙালি জাতি ইসলামি সভ্যতার সম্মুখীন হয়। বিজেতা বা
আক্রমণকারী শক্তি হিসাবে যারা বাংলার বাইরে থেকে আসে তাদের সঙ্গে
বাঙালিদের সংঘাত শুরু হয়। সেই সংঘাত নানা ধারায় বইতে থাকে এবং দেখা যায়
আজকে নয় বাঙালি বরাবর কেন্দ্র বিরোধিতা বাঙালির অস্তিত্ব হারাবার ভয়
থেকে। ফলে যখন যে শাসক বাঙালির ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় জীবনকে নিয়ন্ত্রণের
চেষ্টা করেছে। কী খাবে সে, কী করবে, প্রেম করবে কিনা এইসব যারাই ঠিক করে
দিতে গেছে বাঙালি জাতিগতভাবে সমগ্র ও নিরস্ত্রভাবে তার প্রতিবাদ করেছে।
প্রয়োজনে হিংসার আশ্রয় নিয়েছে কেন্দ্রিকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে। উত্তর
ভারত থেকে অস্ত্র হাতে, রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে ধেয়ে আসা বিশুদ্ধ আর্যরা যখন
আর্যাকরণের স্রোত নামিয়ে আনল বাংলায়। অর্থাৎ আর্যাকরণ শুরু হল তখন সে
সময়ের বাংলাদেশে বসবাসকারী মানুষ তার প্রতিবাদ করেছিল। বহু বিস্তৃত নগর
সভ্যতা আসলে যখন নাগরিকেরাই “ সামাজিক ধনের প্রধান বণ্টন কর্তা” হয়ে
উঠছে তখন নগরের সঙ্গে গ্রামের সংঘর্ষ বাঁধল। বোঝা গেল কিছু ক্ষেত্রে
রাজনৈতিক হিংসা সংস্কৃতির অঙ্গ হতে বাধ্য। সেখানে কোন ছদ্মবেশ অবশ্য ছিল
না। পণ্ডিত বর্জিত এই দেশে আর্যাকরণ শুরু হয়। কেন্দ্রবিরোধিতা ও শুরু হয়।
যখন ইসলামি শাসকরা দিল্লী দখল করল এবং ইসলামিকরণের দিকে জোর দিল কোন
কোন শাসক তখন এই রাজনৈতিক অভিসন্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে, বাঙালির
রাজনৈতিক হিংসার পর্যায় শুরু হল আবার। দাস খিলজি, তুঘলক মোদী বংশ পেরিয়ে
মুঘল সম্রাটদের রাজনৈতিক লক্ষ্য কেন্দ্র থেকে প্রাপ্য ক্ষমতা বিস্তার , যা
মৌর্য ও গুপ্তযুগের রাজাদেরও ছিল। এর বিরুদ্ধে প্রতিঘাতে বারো ভুঁইয়াদের উলান,
স্বাধীন সুলতানির উত্থান, বাংলায় একের পর এক প্রতিরোধের কাহিনি। “ চাঁদ
প্রতাপের হুকুমে হাটিতে হয়েছে দিল্লীনাথে” যা পরে লেখা হল। স্বাধীনতা সংগ্রামে
যে রাজনৈতিক হিংসা ছিল তাঁর উৎসে ছিল না ব্যক্তিগত মনো বৈজ্ঞানিক বিকার
কিন্তু রাজনৈতিক হিংসা এসেছিল স্বার্থসিদ্ধির জন্য নয় দেশপ্রেমের জন্য।
আবার একটু পিছিয়ে গিয়ে বলি পালযুগে কেন্দ্রীয় শাসনের বিরুদ্ধে কৈবর্ত
বিদ্রোহ ছিল কৌম বিদ্রোহ। এটি প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক হিংসার সংস্কৃতি
প্রতিস্থিত করেছিল বাংলায়। কৃষক, শ্রমিক, গাড়োয়ান বিদ্রোহ, পালকি বেহারাদের
বিদ্রোহে বাঙালির রাজনৈতিক হিংসা ধ্বনিত হয়েছিল কেন্দ্রীয় আধিপত্যবাদের
বিরুদ্ধে, তবে কংগ্রেস বা গান্ধিপন্থি কংগ্রেস না আসা পর্যন্ত “ হিংসাই সমাজ
বিপ্লবের ধাত্রী” এই পথে বাঙালির বিশ্বাস তৈরি হয়ে তা রাজনৈতিক সংস্কৃতির
হিংসা হিসেবে থেকে যায়। নীহাররঞ্জন রায় লিখেছেন “ আদিপর্বের বাঙালির যে
উত্তরাধিকার তাহার মধ্যপর্বের ও প্রথম উত্তরাধিকার এই চরিত্র ও জীবন
দর্শন।” এই জীবন দর্শনে হিংস ও রাজনৈতিক হিংসা অবশ্যই একটি বিষয় ছিল।
কিন্তু হিংসা এল কেন? এর উত্তর নিহিতি আছে জিন তত্ত্ব ও পরিবেশের ভেতর।
আজ আমি সেই বিতর্কে যাব না। সাধারণ ভাবে বলি আত্মগর্ব, জয় লাভের বাসনা,
শ্লাঘা, স্বজন বিরোধিতা, প্রতিবাদের ভেতর বাঙালির জীবন ও রাজনৈতিক জীবন
বারবার ঘুরপাক খেয়েছে। হাতের বিচারে, কুলীনত্বের বিচারে, বাঙাল-ঘটির বিচারে
যদি হিংসা আসে তাহলে রাজনীতিতেও আসবে। এই প্রসঙ্গে যুক্ত হয়েছে
অনিশ্চয়তার পরিবেশ, অস্তিত্ব হারাবার ভয়, বিধান সভা বা পার্লামেন্টে সিট কমে
যাবার ভয়, রাজনৈতিক প্রতি আক্রমণের ভয়, যে আক্রমণ আজ ভদ্র শিক্ষিত
লেখাপড়া জানা মানুষের কাছ থেকেও আমরা পেতে পারি, যে কোন বিরোধী পক্ষ হলে।
১৯০৫ সালের পরে রাজনৈতিক হিংসা, গোষ্ঠীগত ও ধর্মীয় হিংসা উত্তরোত্তর
বাড়ে। ছাগলবলি, উট জবাইয়ের দৃশ্য মানুষ উপভোগ করবে বলে ভিডিওতে দেওয়া হয়
আজকের পৃথিবীতে। বাঙালিরাও অনেকে পেস্তাচেরা চোখ নিয়ে ঐ নিষ্ঠুরতা দেখে
থাকেন। ইদানীং আরও আঁধার… কোভিডে বাঙালির নিষ্ঠুরতার কাহিনি সহৃদয়তার
থেকে বেশি শোনা গেছে যা হিংসার নামান্তর। শেষে বলি বাঙালি কি হিংসা ও
রাজনৈতিক ছদ্মবেশী হিংসা ছাড়তে পারবে? মনে হয় না। পশু হত্যা, পশু নির্যাতন,
বাড়ির কাজের মেয়ে অসহায় বালিকার গায়ে গরম জল ঢেলে দেওয়া, সেবিকা তরুণীদের
দ্বারা কোয়াটারর্সের উঠোনে একের পর এক কুকুর ছানাকে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে
নিয়ে এসে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা (দ্রঃ বিভিন্ন সংবাদপত্র)। এইসব হিংসা
আরও সমৃদ্ধ করছে রাজনৈতিক হিংসায় দেখেছি অপরাধীকে ছাড়তে রাজনৈতিক
নেতাকে থানায় ছুটে যেতে। আশ্চর্য এই যে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক হত্যায় এরা আবার
কল্যাণময় ছদ্মবেশের দর্শন ব্যাখ্যার আশ্রয় নেন। সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্ট্যান
স্বামীর’ মৃত্যু যেটা দেখিয়ে দিয়েছে। আসলে বোধহয় রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে হিংসা
শুধু বাঙালি নয় সকলেরই প্রত্যক্ষে পরোক্ষে থাকে। “বাব্বা! আমরা কি সৎ
রাজনৈতিক দল” এই কথা বলার পেছনেও প্রচ্ছন্ন রাজনৈতিক হিংসা থাকে। অন্য
দিকে ছোট করার উদ্দেশ্য। বাঙালি আধুনিক হয়েছে রাজনৈতিক হিংসার জয়গান
গেয়ে। এই রাজনৈতিক হিংসা শুধু অস্ত্রে নয়, ব্যবহারে, মিথ্যাচারে, মনুষ্যত্বের
অবমাননার ভেতর দিয়েও এসেছে। অনেক সময় এর কোন dialouge নেই কিন্তু
প্রচ্ছন্ন ধারণা আছে। ধারণার ভেতর দিয়ে এটি সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে যায়।
মনোজগতে আসে আর বাংলার মিডিয়া আবার পিছিয়ে না পড়ে একে বি-বি-বিস্তারিত
করে। তখন খ-খ-খবরের কাগজ মানে paid কাগজগুলোর মাধ্যম হয়। তখন হাসি মুছে
যায়, রবীন্দ্রনাথ মুছে যান। এই প্রদোষকালে মনে পড়ে জীবনানন্দ দাশ এর কবিতা -
“…. কামানের স্থবির গর্জনে কোথাও বিনষ্ট হতেছে সাংহাই”
আমি দেখছি রাজনৈতিক হিংসা আরও বেশি করে বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ
হয়ে উঠছে। বিনষ্ট হচ্ছে মূল্যবোধ…ভেঙ্গে গুড়িয়ে যাচ্ছে…
תגובות