'সেক্স এডুকেশন '( ওয়েব সিরিজ) নিয়ে কিছু কথা।
- Bhaan Magazine
- Sep 10, 2021
- 6 min read

অন্বয় গুপ্ত
- 'ক'বার লাগিয়েছিস? '
ভারতবর্ষের কথা বাদ দিচ্ছি। আমাদের বাংলার ছেলেপিলেরা যখন স্কুল, কোচিং সেন্টার কিংবা কলেজে পড়ে, বন্ধুবান্ধবদের চক্রে এই প্রশ্নটা তাদের হারহামেশাই ফেস করতে হয়।
সেই দলের মধ্যে কয়েকটা শ্রেণি থাকে-
এক, যাদের যৌনতা নিয়ে প্রচুর অভিজ্ঞতা। সেটা আছে বলে মনে করে একেবারে ফাটিয়ে দিয়েছে। ক্যান্সারের প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ফেলার মতো যেন তাদের কৃতিত্ব। অনভিজ্ঞদের কাছে কথায় কথায় বারফট্টাই করে তারা।
দুই, নিয়মিত যৌনতা প্র্যাকটিস করে করে তাদের আলো, আগুন, উৎসাহ কোথাও গিয়ে যেন নিভে গেছে। চেরাপুঞ্জির মেঘ সাহারায় নিয়ে না এলে চলবে না।
তিন, এক দলের যৌনতা নিয়ে কোনো অভিজ্ঞতা নেই। বলা ভালো সুযোগ এবং সাহস নেই। তাদের মধ্যে কেউ সেটাকে পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দিতে পারে, কেউ প্রচন্ড 'শিঙি' ( horny র বাংলা) হয়ে তক্কে তক্কে থাকতে পারে।
আরও একটা বিষয়ে গৌরচন্দ্রিকা করে নিই। এ বিষয়ে আমি নিজেও বেশ কিছুটা কনফিউজড। অসামান্য প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও ইউরোপীয় ছবিতে বিভিন্নভাবে বঞ্চিত থেকেছেন কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশিয়ানরা। তার মধ্যে গোটা বিশ্ব সরব হয়েছে নারীর অধিকার, সমকামিতা বিভিন্ন সেন্সিটিভ ইস্যু নিয়ে। সেইজন্যই মনে হয় ইদানিং যা যা ওয়েব সিরিজ কিংবা সিনেমা দেখছি, তাতেই এই বিষয়গুলোর ছড়াছড়ি। কখনো কখনো অতি আরোপিতও মনে হচ্ছে। যেন আওয়াজ উঠেছে বলেই দেখানো হচ্ছে। যে বিষয়টা অত্যন্ত প্রাকৃতিক আর স্বাভাবিক, সেটাই জোর করে বলে দিতে হচ্ছে। উপরে যে এক নম্বর দলের কথা বললাম,যেন তাদের মতোই।
মারভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সে তাই কৃষ্ণাঙ্গ আর এশীয়দের ছড়াছড়ি। পিটার পার্কারের প্রিয় বন্ধু এশিয়ার, টনি স্টার্কে প্রিয় বন্ধু রোডি কৃষ্ণাঙ্গ, ক্যাপ্টেন আমেরিকা তার ঢাল তুলে দেয় কৃষ্ণাঙ্গ বন্ধু স্যামের হাতেই - বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে এটা একটা বড় বার্তা। ক্যাপ্টেন মারভেলের সহযোদ্ধা মারিয়া র্যাম্বো কৃষ্ণাঙ্গী। নিক ফিউরি, ব্ল্যাক প্যান্থার অ্যান্ড কোং এর কথা তো ছেড়েই দিলাম।
ছোটবেলায় যখন প্রচুর পরিমাণে ম্যানড্রেক আর অরণ্যদেব পড়েছি, সেখানকার কৃষ্ণাঙ্গ চরিত্রগুলোর প্রতি ভালোবাসা খুব স্বাভাবিকভাবেই এসেছিল। লোথার, কার্মা, লামান্ডা লুয়াগা, কর্ণেল ওয়োরুবু - অনেকেই।
এবার ' সেক্স এডুকেশন'এ ফিরি। সেখানেও অলিভিয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত, তার পার্টনার ইরানি, এরিক - ওলা-জ্যাকসন গুরুত্বপূর্ণ একেকটা চরিত্র কৃষ্ণাঙ্গ।
এই সিরিজ নিয়ে প্রচুর প্রশংসা শুনেছি। কিন্তু গোটা লকডাউনে আমি এই সিরিজ দেখার সুযোগ পাইনি। দেখেছি অনেক পরে। এই বছরের জানুয়ারি মাসে শেষ পর্যন্ত সিরিজটা দেখি। দেখার আগে ভেবেছিলাম যৌনতায় ভরা আর মোটাদাগের রসিকতা ছাড়া আর হয়তো কিছু নেই। বড়জোর ' আমেরিকান পাই' কিংবা 'এইটিন ইয়ার্স ওল্ড ভার্জিন' এর চকচকে একটা সংস্করণই হবে। কিন্তু না, আমার সেই ভুল ভাঙলো। এই ওয়েব সিরিজ যৌনতার শিক্ষা ছাড়াও আরও অনেক অনেক কিছু। একইসঙ্গে হাসায় এবং মনখারাপ করে দেয়।
আমাদের ছোটবেলার আবেগ, বন্ধুত্ব,ঈর্ষা, প্রতিযোগিতা সবকিছুকে স্পর্শ করে যায় এই সিরিজ।
মজার বিষয় হ'ল এই সিরিজে কেন্দ্রীয় চরিত্র বলে কাউকে দাঁড় করানো মুশকিল। প্রত্যেকেই একেকটা উপন্যাস।
তবুও সিরিজের কেন্দ্রে আছে মেভ উইলি নামের সপ্তদশী এক স্কুলগার্ল। এখানে আরও কয়েকটা কথা বলতেই হবে।
স্কারলেট জোহানসন তাঁর কেরিয়ারের গোড়া থেকেই একের পর এক বয়সে অনেকটাই বড় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করে এসেছেন। এক ইন্টারভিউতেও তিনি বলেছিলেন সমবয়সী ছেলেদের তাঁর ভ্রাতৃতুল্য মনে হয়। তাঁর আসল পছন্দ বয়সে বড় আর অভিজ্ঞ পুরুষদের।
মেরিলিন মনরোও ঠিক সেটাই পছন্দ করতেন।
মেয়েদের ম্যাচিয়োরিটির তুলনা হয় না। বয়ঃসন্ধির বয়সে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ম্যাচিয়োরিটি অনেক বেশি থাকে। আমার গাদা গাদা বান্ধবীকে দেখেছি ঘন ঘন পার্টনার বদলাতে। বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা এতটাই বেশি ছিল যে সহজভাবে মিশতে কিংবা কথাবার্তা বলতেই বাধো বাধো ঠেকত। কম ম্যাচিয়োরড ছেলেদের কাচ্চাবাচ্চা মনে করে তাচ্ছিল্য করত তারা।
মেভ উইলির ছোটবেলা এবং বেড়ে ওঠাটাই অত্যন্ত ডিস্টার্বড। তার বাবার ঠিক নেই, মা বোহেমিয়ান। একের পর এক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর একেকটা অবৈধ সন্তানের মতো মেভেরও কোনো খোঁজখবর রাখেন না। মেভের ভাই লোফার, ড্রাগখোর। সেও ফেরার। একা একটা মোটেল ভাড়া করে মেভকে থাকতে হয়। ভাড়া দেওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে কখনো দোকানে অস্থায়ী কর্মচারীর কাজ করে , কখনো অনেক অপ্রিয় কাজ করে তাকে উপার্জন করতে হয়। গোটা স্কুল তার জন্য পাগল। যৌনতার ক্ষেত্রে মেভ খোলামেলা। তাকে নিয়ে স্কুলে চালু কথা হ'ল সে পেমেন্টের জন্য সবার বিছানাতে যায়।কিন্তু তারও পছন্দ অপছন্দ আছে - সহজলভ্য নয়। তার উদ্দামতার সঙ্গে সবাই পাল্লা দিতে পারে না। মেভ ' নো স্ট্রিং অ্যাটাচড' এ বিশ্বাসী। যতখুশি যৌনতা করো কিন্তু প্রেম ট্রেম পোষায় না৷ কারণ প্লেটোনিক প্রেম হতেই পারে না।
জীবনের প্রতি সে বীতশ্রদ্ধ। বুঝে গেছে টিকে থাকার একমাত্র উপায় ধান্দাবাজিই।
পুরুষতন্ত্রকে সেকেন্ডে সেকেন্ডে বিদ্ধ করে মেভ।
গোটা সিরিজের সবচেয়ে অসাধারণ আর মানবিক চরিত্রগুলোর মধ্যে মেভ উইলি একজন। সে ঈর্ষাকাতর নয়, বরং মানবিকতা থেকে অপছন্দের মানুষের জন্যও জান লড়িয়ে দেয়। এক ক্লাসমেট অন্য ক্লাসমেটের যোনির ছবি ভাইরাল করে দিয়ে সেটা মেভের বলে প্রচার করলেও বিপদের সময় নিজের জীবন বিপন্ন করে মেভ তাকে সাহায্য করে। পরে আসল সত্যি বেরিয়ে পড়লে সারা স্কুল যখন সেই ক্লাসমেটকে টিটকিরি দিতে থাকে, মেভ সদর্পে উঠে দাঁড়িয়ে বলে ' এটা আমারই যোনি।' তার মা তাকে জন্ম দিয়ে জীবনটা নরক বানিয়ে তুলেছে বলে জন্মদিনকে দে ঘৃণা করে।
কিন্তু মেভের জন্মদিনেই আরেক সহপাঠিনীর গায়ে ভিড় বাসে এক কামুক বীর্য ছুঁড়লে সে বিষয়টাকে চাপা দিতে বলে কিন্তু তাকে সঙ্গে করে থানায় নিয়ে যায় মেভ।বলে সেটাই তার জন্মদিনের উপহার হোক।
ঘটনাচক্রে স্কুলের অন্যতম ব্রিলিয়ান্ট ছাত্রী এই মেভ-ই। তার সাহিত্যের বোধ, জেনারেল নলেজ, লেখার হাত দুর্দান্ত। স্কুলের প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় ফি বছর যে যে প্রবন্ধ পুরস্কার জিতত, পয়সার বিনিময়ে অন্যের হয়ে সেসব আসলে মেভেরই লিখে দেওয়া।
স্কুলের সাহিত্যের শিক্ষিকা একমাত্র তার প্রতিভাকে চিনতেন। সবসময় লেগে থেকে তাকে উৎসাহ দিতেন।
একদিন মেভের মা ফিরে আসেন নতুন এক সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে।মেভের আরেক বোন।
কেন্দ্রীয় চরিত্র বলা যায় ওটিস মিলবার্নকেও। ওটিস নিরীহ। সেই দলে যারা এখনো ভার্জিন।স্কুলে সে কথা সে লুকিয়ে চলে, তবুও অনেকে ধরে ফেলে। তারও ছোটবেলা অত্যন্ত ডিস্টার্বড। তার মা-বাবা দুজনেই নামকরা মনোবিদ এবং সেক্স থেরাপিস্ট। মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার ট্রমা তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। তার মা ড. মিলবার্ন খুবই খোলামেলা। তিনি যেচে ছেলেকে যৌনতার টিপস দিতে যান, তার বন্ধুদের সঙ্গে বসে নেশা করেন,একের পর এক ক্লায়েন্টের সঙ্গে শরীর আদানপ্রদান করেন,তারপর সম্পর্ক রাখেন না । ছেলেকে পর্যবেক্ষণ করে তিনি বয়ঃসন্ধি নিয়ে থিসিস লেখেন।
তাঁর অত্যধিক স্মার্টনেসে হীনম্মন্যতায় ভোগে ওটিস। তার মনে হয় তার ব্যক্তিগত পরিসরে মা বড্ড বেশি ঢুকে পড়ছেন। কিন্তু ভেতরে ভেতরে বড্ড একা ওটিসের মা। ছেলেই তাঁর পৃথিবী। কিন্তু ওটিস সবসময় তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। স্কুলে অবাধ যৌনসংসর্গের ফলে যৌনরোগ ছড়িয়ে পড়লে যৌন শিক্ষিকা এবং বিশেষজ্ঞ হিসেবে ওটিসের মা'কেই নিয়োগ করা হয়।
যৌনতায় অনভিজ্ঞ আর ভীতু হ'লেও ওটিসের ম্যাচিয়োরিটি খুবই ভালো।বয়স অনুযায়ী তার কথাবার্তা বিজ্ঞের মতো। সে সবাইকে সুন্দরভাবে মোটিভেট করতে কিংবা গুছিয়ে ভালো পরামর্শ দিতে পারে। ক্লাসের নামকরা ব্যাড বয় অ্যাডাম একবার অনেকগুলো ভায়াগ্রা খেয়ে ফেলায় তার লিঙ্গ প্রচন্ড সংবেদনশীল আর বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। স্রেফ কাউন্সেলিং করে তাকে সেই অবস্থা থেকে উদ্ধার করে ওটিস। ওটিসের এই গুণ চোখে পড়ে যায় মেভের। সে একটা বুদ্ধি ঠাউরে ফেলে। ওটিসের সঙ্গে মিলে একটা ব্যবসা চালু করে। স্কুলের কেউ যৌন সমস্যায় পড়লে টাকার বিনিময়ে তাকে সেক্স অ্যাডভাইস দেবে ওটিস।ক্লায়েন্ট যোগাড় করবে মেভ। আধাআধি বখরা।
একসময় গভীরভাবে মেভের প্রেমে পড়ে যায় ওটিস। কিন্তু তার মনে হতে থাকে তাকে ব্যবহার করছে মেভ। মেভের গর্ভপাত করাতে যাওয়ার সময় পাহারাদার হিসেবে, দুর্বৃত্ত ধরতে সঙ্গী করে কিংবা বেবিসীটার হিসেবেও ওটিসকে কাজে লাগায় মেভ।জল অনেক দিকে গড়িয়ে যায়। ওটিসের মা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কল মিস্ত্রী জ্যাকবের সঙ্গে। তাঁর মেয়ে ওলার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে ওটিস।
গোটা সিরিজ জুড়ে দুর্দান্ত সব চরিত্রের ছড়াছড়ি।
ওটিসের প্রাণের বন্ধু কৃষ্ণাঙ্গ এরিক। দিলখোলা, প্রাণোচ্ছ্বল, উপকারী একটা ছেলে। সে ঘোষিত সমকামী, তাই নিয়ে সে গর্বিত।
তার সঙ্গে ওটিস ছাড়া স্কুলের অন্যান্যরা বিশেষ মিশতে চায় না। তার বাড়িতে আছে একগাদা বোন আর রাশভারী বাবা। সে নাস্তিক বলে গীর্জাতেও যায় না। তার নানারকম সাজগোজের জন্য নানাভাবে তাকে হেনস্থা হতে হয়।
ক্লাস ক্যাপ্টেন, স্কুলের গর্ব জ্যাকসন। সে-ও কৃষ্ণাঙ্গ।
সে দুর্দান্ত সাঁতারু। স্কুলকে প্রত্যেকবার প্রাইজ এনে দেয়। তার দুই মা- এক সমকামী দম্পতি। তার গর্ভধারিনী মা ছেলেকে প্রশ্রয় দেন কিন্তু অন্য মা ভীষণ কড়া, প্রচন্ড শাসনে রাখেন ছেলেকে। তাঁর প্রত্যাশার চাপে হাঁফিয়ে ওঠে জ্যাকসন। ইচ্ছে করে নিজের হাত ভেঙে ফেলে যাতে সাঁতার এড়ানো যায়। মেভ তার সঙ্গে পাগলের মতো একাধিকবার সেক্স করে কিন্তু জ্যাকসন চায় মেভ তার গার্লফ্রেন্ড হোক।চায় তারা একসঙ্গে সিনেমায় যেতে, ঘুরতে।কিন্তু মেভ বাঁধা পড়তে রাজি নয়।কাজ মিটে যাওয়ার বাইরে আর কোনো সম্পর্কে সে যাবে না। জ্যাকসন ধীরে ধীরে আমাদের ছোটবেলার পাগলামি গুলোকে ছুঁয়ে ফেলে। সে মেভকে ' পটানো'র জন্য তার প্রিয় সমস্ত বই পড়া শুরু করে। তার পছন্দগুলো জেনে সেসব চর্চা করতে থাকে। এমনকি ওটিসকে টাকা দিয়ে বলে মেভকে পটিয়ে দিতে।
দশ বছর আগে হ'লেও ব্যতিক্রম ছাড়া সাধারণ ভাবে একটা প্রধান চরিত্র 'সাদা' মানুষের সঙ্গে 'কালো' মানুষকে জুড়ে দেওয়া হত কিনা প্রশ্ন, এখানে সুস্পষ্টভাবে মেসেজ দেওয়া হয়েছে।
মহাভারতে যেমন যেকোনো চরিত্রকে কেন্দ্রে রেখে সেখান থেকে মহাভারত পড়া যায়, তেমনি এখানেও সবার সমান্তরালে রাখা হয়েছে অ্যাডামের চরিত্রকে।
অ্যাডাম স্কুলের ' ব্যাড বয়।' ঘটনাচক্রে সে স্কুলের হেডমাস্টারের ছেলে। তার জন্য বার বার মুখ পোড়ে তার বাবার। তার গায়েও খুব জোর। সহপাঠীদের নানাভাবে সে উত্যক্ত করে, গুন্ডামী করে, মেয়েদের উপর হিংস্রভাবে জোর খাটায়। কিন্তু বাড়িতে সে কেঁচো। তার বাবা প্রচন্ড কড়া শাসনে তাকে রাখেন। বাড়ি ফিরে তাকে মোবাইল জমা দিয়ে দিতে হয়। একদিকে ' হেডুর ছেলে ' আর প্রচন্ড রোবোটিক কড়া শাসন, অন্যদিকে কুখ্যাতি আর বিরাট আকারের পুরুষাঙ্গের জন্য আলোচনায় থাকা - এই তিনটে বিষয় অ্যাডামকে আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ফেলে দেয়। সে
আরও ঘেঁটে যায়। কেউ তাকে ভালোবাসে না।
গোটা সিরিজ জুড়ে প্রচুর অসাধারণ দৃশ্য আছে। গর্ভপাত করানোর সময়কার দৃশ্য, ক্যুইজে ইগো ঝেড়ে সবাই মিলেমিশে লড়াই করা,প্রত্যেকের সঙ্গে যা যা যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে সেসব শেয়ার করা, মেভের সঙ্গে তার মায়ের সেকেন্ড সিজনের শেষের দৃশ্য, ওলা আর অ্যাডামের দৃশ্য,জ্যাকসনের সঙ্গে তার ব্লন্ড মমের দৃশ্য- আরও অনেককিছুই।
হাসতে হাসতে যেমন পেটে খিল ধরে যাবে, তেমনি মন ভারিও হয়ে উঠবে।
গোটা সিরিজের প্রত্যেকের অভিনয়ই অসাধারণ। মেভের ভূমিকায় এমা ম্যাকি, ওটিসের ভূমিকায় আসা বাটারফিল্ডের কথা তো ছেড়েই দিলাম। এরিকের ভূমিকায় এনকুটি এফিয়ং, হেডমাস্টারের ভূমিকায় অ্যালিস্টার পেত্রী, ড. জিন মিলবার্নের ভূমিকায় গিলান অ্যান্ডারসন, সবাইকে ধরে ধরে ' আমার সঙ্গে সেক্স করবে? ' বলা দুর্দান্ত ইলাস্ট্রেটর আর নাট্যদলের পরিচালিকা লিলির ভূমিকায় তান্যা রেনল্ডস, মাতাল মজার শিক্ষক জিম হেন্ড্রিক্সের ভূমিকায় জিম হাউয়িস, অ্যাডামের ভূমিকায় কনর সুইনডেলস দুর্দান্ত।
Comments